দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ও উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাইলেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি হলেন মোহাম্মদ সুফিউর রহমান শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না : বিএনপি বিএনপি বৈঠক করলো সিপিবি, বাসদসহ বাম নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করলো গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক
করোনাভাইরাস : জাপানে প্রমোদতরী থেকে যাত্রীদের সরানো শুরু

করোনাভাইরাস : জাপানে প্রমোদতরী থেকে যাত্রীদের সরানো শুরু

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): জাপানের ইয়োকোহামায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়া প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে যাত্রীদের সরানো শুরু হয়েছে। বুধবার তাদেরকে নামানো শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৫৪২ জন যাত্রী ও ক্রু ভাইরাস সংক্রমিত হয়, যা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে একক কোনো জায়গায় ভাইরাস সংক্রমিতদের সবচেয়ে বড় জমায়েত।

জাহাজের যাত্রীরা বেশ কয়েকদিন ধরে প্রমোদতরীর ভেতরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থার কঠিন পরিস্থিতি বর্ণনা করছেন। জাহাজের ভেতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ থেকে নামা যাত্রীরা জাহাজ থেকে নেমেই ইয়োকোহামা বন্দরে থাকা ট্যাক্সিতে করে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। যারা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় এবং যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গও প্রকাশিত হচ্ছে না, এরকম ৫০০ মানুষের বুধবার ছাড়া পাওয়ার কথা। আগামী কয়েকদিনে আরো বহু মানুষের ছাড়া পাওয়ার কথা।

জাহাজে মোট ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী ছিল। যাদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি কিন্তু তারা সংক্রমণের শিকার মানুষের সাথে কেবিনে ছিলেন- এমন ব্যক্তিদের অতিরিক্ত কোয়ারেন্টাইনে করা হবে, কাজেই তারা জাহাজ ছেড়ে বের হতে পারবেন না।

ডায়মন্ড প্রিন্সেসে ৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকরা ছিল। বিবিসি সংবাদদাতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে এই যাত্রীরা সারাবিশ্বে ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন।

জাহাজটি কোয়ারেন্টাইন করা হলো কীভাবে?

প্রমোদতরীটিকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা হয়। এর আগে ভাইরাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়ায় ওই জাহাজ থেকে এক ব্যক্তিকে হংকং বন্দরে নামিয়ে দেয়া হয়।

যাত্রীদের শুরুতে তাদের নিজ নিজ কেবিনে আলাদা করে রাখা হয়, পরে বিচ্ছিন্নভাবে তাদের ডেকে চলাফেরার অনুমতি দেয়া হয়। কোয়ারেন্টাইনে থাকা স্বত্ত্বেও জাহাজটিতে ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাহাজে ৫৪২ জন যাত্রী ভাইরাসে আক্রান্ত যাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অনেক দেশ এরই মধ্যে তাদের নাগরিকদের আলাদাভাবে সরিয়ে নিয়েছে অথবা কিছুদিনের মধ্যেই সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে।

সংক্রমণ বাড়লো কেন?

জাহাজটিকে কোয়ারেন্টাইন করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কেনতারো ইওয়াতা মঙ্গলবার এক ভিডিও পোস্ট করে জাহাজের পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলাপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।

জাহাজ পরিদর্শনের পর তিনি মন্তব্য করেন যে জাহাজে সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত ছিল কারণ সেখানে সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে সুস্থদের আলাদা করার ব্যবস্থা খুবই ত্রুটিপূর্ণ ছিল।

জাপানের কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাদের নিজেদের নেয়া ব্যবস্থার পক্ষেই সাফাই গেয়েছে। তারা বলেছে অধিকাংশ সংক্রমণের ঘটনা কোয়ারেন্টিন শুরু হওয়ার আগেই ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের যেসব নাগরিক ওই জাহাজ থেকে ফিরবে, তাদের আরো ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে তারা তাদের দেশের নাগরিক ছাড়া ডায়মন্ড প্রিন্সেসের অন্য কোনো যাত্রীকে নিজেদের দেশে প্রবেশ করতে দেবে না।

বুধবার প্রকাশিত হওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪ জন মারা গেছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে। চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ১৮৫ জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি দেশে আরো ৭০০ জনের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এই ভাইরাস।

বুধবার হংকং জানিয়েছে যে সেখানে ভাইরাস সংক্রমণে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ফ্রান্স, জাপান, ফিলিপিন্স ও থাইল্যান্ডে একজন করে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার চীন ৪৪ হাজার ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য নিয়ে বিস্তারিত এক গবেষণা প্রকাশ করেছে, যেখানে উঠে এসেছে যে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার আগে থেকে অসুস্থ এবং বয়স্কদের মধ্যে বেশি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT